Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১০ জুলাই ২০২৫

মহাপরিচালকের বার্তা

                                                                      

         

           বাংলাদেশের সংবিধান শিক্ষাকে সকল নাগরিকের মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং অনুচ্ছেদ ১৭ এর মাধ্যমে একই পদ্ধতির গণমুখী ও সার্বজনীন শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা এবং আইনের দ্বারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিরক্ষরতা দূর করার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রাষ্ট্রকে নির্দেশ দিয়েছে। 

            উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার পরিধি, বিস্তৃতি এবং উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো’র কর্মপরিধি নির্ধারণ করে সরকার উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা আইন ২০১৪ প্রণীত হয়েছে। এ আইনের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে-‘শিক্ষার সুযোগ বঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে সাক্ষরজ্ঞানদান, জীবনব্যাপী শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি, কারিগরি ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জীবিকায়ন, দক্ষ মানবসম্পদে পরিণতকরণ, আত্ম-কর্মসংস্থানের যোগ্যতা সৃষ্টিকরণ এবং বিদ্যালয় বাহির্ভূত ও ঝরে পড়া শিশুদের শিক্ষার বিকল্প সুযোগ সৃষ্টি।

           জ্ঞানভিত্তিক, দক্ষ ও মানবিক সমাজ গঠনে শিক্ষা সবচেয়ে কার্যকর ও টেকসই হাতিয়ার। শিক্ষা শুধু আলোক বর্তিকা নয়, এটি উন্নয়নের চালিকাশক্তি। উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো বিদ্যালয় বহির্ভূত, ঝরেপড়া এবং শিক্ষার সুযোগবঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে বয়স ও চাহিদাভিত্তিক উপানুষ্ঠানিক প্রাথমিক শিক্ষা, বয়স্ক শিক্ষা, কার্যকর সাক্ষরতা এবং প্রাক-বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ প্রদান করে তাদেরকে আত্মনির্ভরশীল হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়তা করে থাকে। এর মাধ্যমে তাঁরা দক্ষ হয়ে জাতীয় উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে এবং একটি অন্তর্ভূক্তিমূলক ও সমতাভিত্তিক সমাজ গঠনের পথ প্রশস্ত হচ্ছে। উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো সবার জন্য জীবনব্যাপী শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করার মাধ্যমে একটি আত্মনির্ভরশীল ও ভবিষ্যৎমুখী জাতি গঠনের স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

           সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থা, বেসরকারি সংস্থা (এনজিও), সিভিল সোসাইটি, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রদানকারী সংস্থা, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, চাকুরীদাতা প্রতিষ্ঠান এবং উদ্যোক্তা উন্নয়ন ও বাজারজাতকারী সংস্থার মধ্যে অংশীদারিত্ব উন্নয়ন ও সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা এগিযে যেতে চাই। এজন্য সকলের অকুন্ঠ সমর্থন ও সহায়তা কামনা করি।